ডিম খেলে ওজন
বাড়ে কথাটি
সম্পূর্ণ ভুল। তবে
ওজন কমাতে
চাইলে ডিমের
কুসুম এড়িয়ে
চলাই ভালো। সকালে
একটি/ দুটি
ডিমের সাদা
অংশ খেলে
তা অনেকটা
সময় ধরে
পেটে থাকে
এবং কম
ক্ষুধার উদ্রেক
করে।
এতে অন্যান্য
খাওয়া কম
হয়।
ডিম প্রোটিনের খুব
ভালো একটি
উৎস।
এতে করে
শরীরের জন্যও
বেশ ভালো। ডায়েট
যারা করেন
তারা একটি
ডিম রাখুন
সকালের নাস্তায়। পুরো
দিনটি শরীরে
কাজ করার
ক্ষমতা পাবেন। পাশাপাশি
ওজন কমাতে
পারবেন।
এতে আছে ভিটামিন
এ, বি,
সি ও
ই।
এছাড়াও রয়েছে
ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং পট্যাশিয়াম।
প্রোটিন এবং
ফাইবার খাবার
হওয়ার কারনে
সামান্য মুগ
ডাল খেলে
পেট অনেকক্ষণ
ভর্তি থাকে। তবে
পরিমাণ মেপে
খাওয়াই ভালো।
৩. কাঠবাদাম:
কাঠবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য
অনেক উপকারী। এতে
পর্যাপ্ত পরিমাণ
ভিটামিন ও
মিনারেল আছে
তা পুরো
দিন শরীরে
এনার্জি সরবরাহ
করে।
কাঠবাদামের ফাইবার ক্ষুধা কমায়।
সকাল শুরু
করুন একমুঠো
কাঠবাদাম দিয়ে।
ডাক্তাররা শরীরের সুস্থতার
পাশাপাশি দেহের
চর্বি নিয়ন্ত্রণে
কাঠবাদাম খাওয়ার
পরামর্শ দিয়ে
থাকেন।
তবে লবণাক্ত
কাঠবাদাম এড়িয়ে
চলুন।
৪. আখরোট:
খিদে পেলে চার-পাঁচটা আখরোট
খেয়ে নিন। এতে
আছে অ্যান্টি
অক্সিডেন্ট। অন্যান্য ড্রাই ফ্রুটের
তুলনায় আখরোটে
কোলেস্টেরলের পরিমাণও কম। এতে
প্রচুর পরিমাণে
ক্যালোরি রয়েছে,
ফলে আখরোট
খেয়ে ওজন
কমে,তবে
বেশি খেলে
হিতে বিপরীত
হবে।
৫. আপেল:
আপেল সম্পর্কে একটি
প্রচলিত কথা
হল ‘দিনে
মাত্র একটি
আপেল খেলে
ডাক্তারের প্রয়োজন হয় না’।
কিন্তু আপেল
যে ওজন
কমাতেও অনেক
বেশি কার্যকরী
একটি খাবার
এটি অনেকেই
জানেন না। একটি
আপেলে ৪-৫ গ্রাম
ফাইবার থাকে। তা
ক্ষুধার উদ্রেক
কমায়।
এবং শরীরে
জমে থাকা
ফ্যাট কাটতে
সাহায্য করে। যখন
হুটহাট ক্ষুধা
লাগে তখন
সামনে যা
পাই তাইখেয়ে
ফেলি যা
ওজন বাড়িয়ে
তোলে।তাই মুটিয়ে
যাওয়া দূর
করতে একটি
আপেল সাথে
রাখুন ।
৬. ফুলকপি:
ফুলকপি ওজন কমাতে
সাহায্য করে। লো
ক্যালোরি খাবার
হওয়ার পাশাপাশি
এতে ফাইবার
আছে প্রচুর
পরিমাণে।
তাই পেট
অনেকক্ষণ ভর্তি
থাকে।
তা ছাড়াও
এতে ইন্ডোল,
গ্লুকোসাইনোলেট এবং থায়োসাইনেট রয়েছে যা
শরীর থেকে
টক্সিন বের
করতে সহায়তা
করে।
৭. দারুচিনি:
মাঝে মাঝে আমরা
কিছু খাবারে
সামান্য চিনি
দিয়ে থাকি
হালকা মিষ্টি
ও সুস্বাদু
করার জন্য। পরবর্তীতে
চিনির বদলে
দারুচিনি গুঁড়ো
দিয়ে দিন। খাবারে
ভিন্ন স্বাদ
যোগ করার
পাশাপাশি এটা
ওজন কমাতে
সাহায্য করবে।
৮. রসুন:
যেকোনো খাবারে রসুনের
ছোঁয়া পালটে
দেই তার
স্বাদ এবং খাবারকে করে তোলে অতলনীয়, রসুন ওজন
কমাতে খুবই
সাহায্য করে। রসুনে
মজুত অ্যালিসিন
উচ্চ কোলেস্টেরল
ও ইনসুলিন
নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ব্লাড শুগারও
কমাতে সাহায্য
করে।
এছাড়াও অ্যাপেটাইট
কনট্রোল করতেও
রসুন উপযোগী। ফলে
ওজন খুব
সহজেই নিয়ন্ত্রণে
থাকে।
৯. আমন্ড:
আমন্ডও ওজন কমাতে
সাহায্য করে। রাতে
ঘুমোতে যাওয়ার
আগে জলে
২-৩টে
আমন্ড ভিজিয়ে
রাখবেন।
সকালে ঘুম
থেকে উঠে
খালি পেটে
ভিজিয়ে রাখা
আমন্ড খেয়ে
নেবেন। তবে ওই আখরোটের
মতোই একসঙ্গে
বেশি পরিমাণে
খাবেন না
তাতে ফল
উল্টো হবে।
১০. টমেটো:
টমেটো খেলে শরীরে
কোলেসিসটোকিনিন নামের এক ধরনের হরমোন
নিঃসৃত হয়
যা স্টম্যাক
এবং ইনটেস্টাইনের
মধ্যে যে
ভাল্ব রয়েছে
তা টাইট
করে দেয়া
ফলে পেট
ভর্তি ভাব
লাগে।
তাই অনায়াসেই
ওভারইটিং এড়িয়ে
যাওয়া সম্ভব
হয়।
১১. ক্যাপসিকাম:
এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমানে ভিটামিন
সি।
এই ভিটামিন
সি খুব
সহজে ও
খুব দ্রুত
ওজন কমাতে
সহায়তা করে। লাল,
হলুদ কিংবা
সবুজ যে
কোন ধরণের
ক্যাপসিকাম খেতে পারেন রান্নায় ব্যবহার
করে।
সব থেলে
ভালো উপায়
হচ্ছে সালাদে
ক্যাপসিকাম খাওয়া। ওজন কমতে
বেশ সাহায্য
করবে।
অলিভ অয়েলে স্বাস্থ্যকর
ফ্যাট রয়েছে,
যার ফলে
পেট ভর্তিভাব
থাকে।
ফলে যখন
তখন খিদে
পাওয়া প্রবণতাও
কমে যায়। এছাড়াও
এতে পলিফেনল
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা
শরীরে মজুত
ফ্রি র্যাডিরলস্
দূর করতে
সাহায্য করে।
১৩. ওটস:
ওটস আমরা সবাই
চিনি।
কিন্তু খেতে
খুব বেশি
সুস্বাদু নয়
তাই অনেকেই
এড়িয়ে চলি। সকালের
নাস্তায় এক
বাটি ওটস
খেলে ওজন
খুব দ্রুত
কমে যায়। ওটস
হচ্ছে ওজন
কমানোর খুব
ভালো একটি
খাদ্য উপাদান। ওটসে
রয়েছে প্রচুর
ফাইবার।
ওজন সমস্যায় ভোগা
সকল রোগীকে
ডাক্তাররা ওটস খাবার পরামর্শ দিয়ে
থাকেন।
মধু ও লেবু
আসলেই যে
কার্যকরী, তা পরীক্ষিত এবং সারা
বিশ্বে সমাদৃত
ও স্বীকৃত। ওজন
কমাতে দুটি
প্রাকৃতিক উপাদান লেবু ও মধুর
অনেক গুণাগুণ
আছে।
এটি শরীর
থেকে টক্সিন
বের করে। মেটাবলিজম/
হজম শক্তি
বাড়ায়, ফলে
ওজন কমে। ঠাণ্ডা
লাগলে লেবু
ও মধুর
পানীয় কফ
বের করতে
সাহায্য করে
এবং ঠাণ্ডা
লাগলে গলাব্যথা
দূর করতে
সহায়তা করে
। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আরো জানতে Click করুন: Entertainment
আরো জানতে Click করুন: Entertainment
No comments:
Post a Comment