Clock


Button

Home

Wednesday, February 3, 2016

কম্পিউটার টিপস



উইন্ডোজ চালুহবে দ্রুত
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের একটা সমস্যা হলো পুরাতন কম্পিউটারগুলো চালু হতে বেশি সময় লাগে। হার্ডওয়্যারের সমস্যা, যেমন ক্রুটিপূর্ণ হার্ড ড্রাইভের কারণে এমনটা হতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল কারণ হলো সেইসব প্রোগ্রাম, যেগুলো কম্পিউটার বুটের সময় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে। সিস্টেমে খুব বেশি সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকলে সেগুলো কম্পিউটার স্টার্টআপ তালিকায় ঢুকে পড়ে। এরমধ্যে এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম তো অবশ্যই চালু হবে কিন্তু একই সঙ্গে অনেক অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার চালু হয়, যেগুলো আসলে খুব বেশি দরকার নেই। কোন কোন প্রোগ্রাম এজন্য দায়ি সেগুলো চিহ্নিত করতে পারলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যায়। নিজে নিজে কাজটা করতে না পারলে সিক্লিনারের মতো সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়েও এটা করা যায়। নিজে থেকে পরিবর্তনযোগ্য উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সেটিংস:
উইন্ডোজ৭: কিবোর্ডের Windows Key + R চেপে অথবা স্টার্ট মেনু থেকে রান চালু করে তাতে লিখুন msconfig এবং এন্টার চাপুন। সিস্টেম কনফিগারেশন উইন্ডো আসলে স্টার্টআপ ট্যাবে ক্লিক করুন। তালিকায় থাকা আইটেমগুলো থেকে অ্যান্টিভাইরাস ছাড়া অন্যান্য প্রোগ্রামগুলো থেকে টিক উঠিয়ে দিন। যে প্রোগ্রামটি খুব বেশি ব্যবহার করেন সেটিতে অবশ্য টিক রেখে দিতে পারেন। এজন্য তালিকাটা কয়েক মিনিট সময় নিয়ে ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখুন কোন সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় না থাকলেই নয়। তারপর ওকে চেপে কম্পিউটার বন্ধ করে পুনরায় চালু করুন। দেখবেন আগের চেয়ে কম্পিউটার কিছুটা দ্রত চালু হচ্ছে।



আচমকা বন্ধ হচ্ছে কম্পিউটার?
কম্পিউটারে কাজ করার সময় দেখা গেল নিজে থেকেই কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ কম্পিউটার বন্ধের কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি, আগে থেকে কম্পিউটার বন্ধের সময়সূচীও ঠিক করে রাখা হয়নি। সবসময় না হলেও প্রায়ই হয়তো এমনটা ঘটছে। এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে কম্পিউটার সিস্টেমের অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়াটাকে দায়ি করা যায়। মাদারবোর্ডের চিপস এবং হার্ড ড্রাইভের মতো যন্ত্রাংশ বিদ্যুত ব্যবহার করে। স্বাভাবিকভাবেই সেখান থেকে তাপ উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে কম্পিউটার অবশ্য যথেষ্ট বুদ্ধিমান। যখনই সিস্টেম সার্কিট খুব বেশি গরম হয়, স্থায়ী কোন ক্ষতি হওয়ার আগে তখন নিজে থেকেই কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত যন্ত্রাংশের মধ্যে বাতাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে গরমজনিত সমস্যাটা তৈরী হয়। সকল কম্পিউটারেই বেশ কিছু ছোট পাখা বা কুলিং ফ্যান থাকে। এগুলো কাজ না করলে অথবা ভিতরের গরম বাতাস বের করার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হলে সার্কিট প্রায়ই প্রচন্ড গরম হয়ে কম্পিউটার আপনিই বন্ধ হয়ে যায়। ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের বাতাস চলাচলের পদ্ধিতিটা ভিন্নরকম। ধরণের সমস্যায় পড়লে যা করতে হবে-ডেস্কটপ প্রায় সব ডেস্কটপের সিপিইউ কেসিংয়ের পেছন দিকে বাতাস বের হওয়ার জায়গা থাকে। এগুলো যেন দেয়াল বা অন্য কোন কারনে বন্ধ না হয়ে পড়ে সেটা দেখতে হবে। কম্পিউটার বন্ধ করে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন। কেসিং খুলে ভিতরে দেখুন কোন কিছু বাতাস আটকে ফেলছে কিনা, কুলিং ফ্যানের পাখাগুলো তার বা অন্য কিছুর সাথে আটকে আছে কিনা। সার্কিটে ধুলোবালি জমলে ব্রাশ বা কম্প্রেসড ডাস্টার দিয়ে সাবধানে পরিষ্কর করে ফেলুন। এবার বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন পাখাগুলো ঠিকমতো ঘুরছে কিনা, তারপর কেসিং লাগিয়ে ফেলুন।
ল্যাপটপ ল্যাপটপের ব্যাপারটা ডেস্কটপের চেয়ে জটিল। পেশাগত দক্ষতা না থাকলে ল্যাপটপের কেসিং খোলা ঠিক নয়। বাইরে থেকে খেয়াল করে দেখুন বাতাস চলাচরের পথটা পরিষ্কার আছে কিনা, কুলিং ফ্যান ঘুরছে কিনা। ল্যাপটপ চালু অবস্থায় বিছানা, সোফা বা বালিশ উপরে কিংবা ব্যাগের ভিতরে ল্যাপটপ রাখা যাবে না। এমন অবস্থায় ল্যাপটপ প্রচন্ড গরম হয়ে ক্ষতি হতে পারে। ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হলে ল্যাপটপ কুলার কিনতে পারেন। বাজারে ছয়শো টাকা থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যেই এসব কুলিং প্যাড পাওয়া যায়।

উইন্ডোজের বৈশিষ্ট্যে যোগ বিয়োগ উইন্ডোজের প্রত্যেক সংস্করণেই আগে থেকে ঠিক করে রাখা বিভিন্ন সুবিধা বা প্রোগ্রাম ইনস্টল করা থাকে। উইন্ডোজের এসব সুবিধার সবগুলোই যে প্রয়োজন পড়ে এমন নয়। অদরকারি কিছু অ্যাপস, ফিচার বা প্রোগ্রাম নিজে থেকে মুছে দিয়ে উইন্ডোজের উপর বাড়তি বুঝা যেমন কমানো যায়, তেমনি হার্ড ডিস্কের জায়গাও খালি করা যায় অনেকখানি। খুব বেশি ব্যবহার না থাকায় উইন্ডোজের ফিচারস নামের সুবিধাটি অবশ্য অনেকের অগোচরেই থেকে যায়।
যেভাবেকরবেন: উইন্ডোজ ফিচারস উইন্ডোটি চালু করা যাবে কন্ট্রোল প্যানেলের প্রোগ্রাম অ্যান্ড ফিচারস নামের অপশনটি ক্লিক করে। সুবিধাজনক হলো, স্টার্ট বোতামে ক্লিক করে সার্চ বক্সে লিখুন add remove তারপর অ্যাড অর রিমুভ প্রোগ্রামস অপশনটি বাছাই করুন। প্রোগ্রাম অ্যান্ড ফিচারস উইন্ডো এলে বাঁয়ের কলাম থেকেটার্ন উইন্ডোজ ফিচারস অন অর অফলিংকে ক্লিক করুন, উইন্ডোজ ফিচারস উইন্ডোটি চলে আসবে। এবার উইন্ডোজের যেসকল সুবিধা ইনস্টল এবং বিদ্যমান আছে সেগুলোর তালিকা দেখতে পাবেন। তালিকায় থাকা প্রত্যেকটি সুবিধার উপর মাউস নিলে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেখা যাবে আর যেসব ফিচারগুলোতে টিক দেওয়া আছে সেগুলো বর্তমানে চালু আছে। এখান থেকে নিজের প্রয়োজন অনুসারে ইনস্টল থাকা সুবিধাটি বাতিল করতে হলে টিক উঠিয়ে দিয়ে ওকে করতে হবে। প্রয়োজন পড়ে না এমন সুবিধাগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট গেমস, মোর গেমস, উইন্ডোজ ডিভিডি মেকার, উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টার, উইন্ডোজ ফ্যাক্স অ্যান্ড স্ক্যান, উইন্ডোজ গেজেট প্ল্যাটফর্ম ইত্যাটি থেকে টিক উঠিয়ে দিলে হার্ড ডিস্কের জায়গা অনেকটাই বেঁচে যাবে। অনেকক্ষেত্রে উইন্ডোজ একটি সতর্কিকরণ বার্তা দেখাতে পারে। সেক্ষেত্রে ইয়েস চেপে ধাপটি সম্পন্ন করুন। নতুন সুবিধা যুক্ত করতে চাইলে সুবিধাটির বাঁয়ে টিক দিতে হবে। নতুন সুবিধা চালুর ক্ষেত্রে অনেক সময় উইন্ডোজ আপডেট সেন্টার থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে হালনাগাদ অথবা উইন্ডোজের ডিভিডিটি সিডি/ডিভিডি রমে প্রবেশ করার প্রয়োজন পড়তে পারে। সেই সাথে কম্পিউটার বন্ধ করে পুনরায় চালু বা রিস্টার্ট করারও প্রয়োজন হতে পারে। উইন্ডোজের নিজস্ব ওয়েব সার্ভার বা আইআইএস-সহ এফটিপি সার্ভারের সেবাও এখান থেকে চালু করা যাবে।



উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত কম্পিউটার খুললে প্রথমেই ভেসে উঠে ডেস্কটপের পর্দা আর এতে রাখা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের শর্টকাট আইকন। যতক্ষণ কম্পিউটার চালু থাকবে ডেস্কটপেই চোখ পড়বে বার বার। আইকনগুলো সাজানো গুছানো থাকলে দেখতে সেটা সুন্দর লাগে। অনেকেই প্রচুর আইকন ডেস্কটপের পর্দায় তৈরী করে রাখেন। খুব বেশি কাজে লাগে এমন আইকনগুলো বাদে অন্যগুলো মুছে ফেলাই ভালো। অনেক সময় আইকনগুলো সাজাতে গিয়ে কেউ কেউ বিপাকে পড়েন। আইকনগুলোকে নিজের ইচ্ছেমতো জায়গায় কিছুতেই রাখা যায় না। উইন্ডোজ সাধারণত নিজে থেকে গ্রিড আকারে উপরে বাঁয়ের কোণা থেকে আইকন সাজিয়ে থাকে। কিন্তু উইন্ডোজের এরকম সাজানোটা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে।
ডেস্কটপের আইকনগুলো নিজের পছন্দমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সহজেই। ডেস্কটপের উপর মাউসের ডান ক্লিক করে View তে ক্লিক করুন। অনেকগুলো অপশন চলে আসবে। প্রথমেই থাকবে আইকনের আকার ছোট বড় করার অপশন। ডেস্কটপে বেশিরকম আইকন থাকলে Small icons অপশনে ক্লিক করলে ছোট পরিসরে অনেকগুলো আইকন এঁটে যাবে। পরের অংশে আছে Auto arrange icons, এটিতে টিক দেওয়া থাকলে সেটা উঠিয়ে দিন। কারণ অটো অ্যারেঞ্জ আইকনস নির্বাচিত থাকা অবস্থায় আপনি নিজের মতো আইকনগুলো সাজাতে পারবেন না। আর আইকন সাজানোর ভারটা যদি উইন্ডোজের উপর ছেড়ে দিতে চান, তাহলে এটিতে অবশ্য টিক দিয়ে রাখতে পারেন। তারপর Align icons to grid অপশন থেকেও টিক উঠিয়ে দিতে হবে। ডেস্কটপে যদি কোন আইকনই দেখতে না চান তাহলে Show desktop icons অপশন থেকে টিক উঠিয়ে তা করা যাবে। একইভাবে পুনরায় ডেস্কটপের ভিউতে গিয়ে টিক দিলেই তা আবার চলে আসবে।
ডেস্কটপে বেশি আইকন রাখার বদলে সবচেয়ে ভালো হয় যদি সেগুলো স্টার্ট মেনু বা টাস্কবারে রাখা যায়। এখান থেকে অ্যাপ্লিকেশন চালু করা যায় মাত্র এক ক্লিকেই। টাস্কবার বা স্টার্ট মেনুতে আইকন রাখলে সেগুলো হাতের নাগালে থাকে সবসময়। অপরদিকে, ডেস্কটপে রাখলে বর্তমানে চালু থাকা কোন প্রোগ্রামের উইন্ডো খোলা থাকার কারণে সেগুলো সবসময় দৃষ্টিগোচর থাকে না। যে প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশনটি টাস্কবারে অথবা স্টার্টমেনুতে রাখতে চান, সেটির উপর ডান ক্লিক করে Pin to Taskbar অথবা Pin to Start Menu অপশনটি বাছাই করুন।



আরো জানতে Click করুন:
....................Entertainment  

No comments:

Popular